স্টাফ রিপোর্টার :
ফতুল্লা ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক (পিয়ন) রনির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে এক ভুক্তভোগী। ওই অভিযোগ থেকে রনির বিরুদ্ধে গুরুতর তথ্য পাওয়া গেছে। ভূমি অফিসের পিয়ন হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেক্টর থেকে মাসোয়ারা আদায় এবং সাধারণ মানুষকে তটস্থ করে রাখছে বলে রনির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এবার তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি সহ মারধরের অভিযোগ তুলেছেন জসিম উদ্দিন নামে এক যুবক।
জানা গেছে, রনি (৩৭) ভূইগড় পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. দেলোয়ারের ছেলে। ফতুল্লা ভূমি অফিসের পিয়ন হিসেবে গত ৩ বছর যাবত কর্মরত আছেন। এই প্রভাবে ভূইগড় এলাকার সাধারণ মানুষকে তটস্থ করে রাখেন রনি। গতকাল ভূইঘড় পশ্চিমপাড়া এলাকার দলিল উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩১)কে বেধরক মারধর করার অভিযোগ উঠে রনির বিরুদ্ধে।
জেলা প্রশাসক ও ফতুল্লা মডেল থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন বলেন, রনি এসিল্যান্ড অফিসের পিয়ন হওয়ায় প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন লোকজনকে মিথ্যা মামলার হুমকি প্রদান করে ও বিভিন্ন অবৈধ সেক্টর থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে থাকে। গতকাল ১৭ এপ্রিল সকাল সোয়া ৮টায় ভূইগড় পশ্চিমপাড়া ক্যানেলপাড় এলাকায় নিজ মালিকানা পুকুর থেকে মাছ শিকার করছিলো জসিম উদ্দিন। এসময় রনি তাকে বাধা দেয় এবং মাছ ধরে বিক্রি করলে রনিকে চাঁদা দিতে হবে বলে জানায়। এতে রাজি না হওয়ায় রনি গালিগালাজ শুরু করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রনি ফোন করে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন যুবককে ডেকে এনে জসিমকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এসময় তার সাথে থাকা একটি মূল্যবান মোবাইল ফোন ও স্বর্নের চেইনসহ নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার কথাও অভিযোগে উল্লেখ করে জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, আমি আমার পুকুর থেকে মাছ ধরে বিক্রয় করলেও জসিমকে প্রতি মাসে টাকা দিতে হবে বলে হুমকি দেয়। রনির বিরুদ্ধে এলাকার বিভিন্ন লোকজনের নিকট একাধিক অভিযোগ রয়েছে। রনি এসিল্যান্ডের গাড়ী চালক বিধায় সেই প্রভাব বিস্তার করে চলে। কেউ তার বিরুদ্ধে ভয়ে কোন অভিযোগও করতে চায় না। তবে নিরুপায় হয়ে আমি থানায় এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হয়েছি।
এদিকে, এই অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত রনি দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, ‘আমি সরকারি অফিসে চাকুরি করি। আমার দ্বারা প্রভাব বিস্তার করা বা চাঁদাবাজি করার কোনো কারণ নেই। উল্টো জসিম আমাকে মারধর করেছে। আর ওই পুকুর আমার নিজের। সেখানে আমি মাছ চাষ করতাম। তবে এটা ঠিক যে, আমি নিজে আইনের দারস্থ হতে পারতাম। কিন্তু আমাকে মারধরের পর জসিমের ভাই এসে থানায় যেতে নিষেধ করায় সামাজিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় আমি থানায় যাইনি।’